Aditya Ghosh, XII A (2018 – 19)
আজ বাড়ি ফিরছি বহুদিন পর,
এপথে বৃষ্টি হয়েছে গতকাল –
কাদায় ভাসা রাস্তার সব গর্তগুলি ভরা ।
তবু ফিরেছি, পুরোনো গাড়ির লেগে থাকা আলো
দেখতে দেখতে ফিরেছি অন্ধকারে ।
বাইরে ভাঙছে আকাশ, তাই চেয়েছিলাম,
দুধারে নীল-কালোর মাঝে এক
ক্ষীণ কমলা রেখা ।
হাতের গোলাপ ফেলে দারোয়ান একদিন
হয়েছিল দরজা ।
তখন জানালায় বসা পায়রা হঠাতই ভাঙা কাঁচ –
রিকশাওয়ালার গোড়ালির মত একবার ছায়ায়
একবার অন্ধকারে ঘুরতে ঘুরতে
সেও অবশেষে ভেঙেছিল ।
আমায় চলে যেতে হল ।
এখনও ঘরের মাঝে অপেক্ষা করে
সেদিনের কাটা নখগুলি, আর
অপেক্ষা করো তুমি ঘরের কোণে,
সেই গভীর ডালগুলি উদারভাবে পেতে ।
বারান্দায় শত শত সবুজ পাতার মাঝে
শিশুটি মৃত হয়ে শুয়ে থাকে,
বৃষ্টি আজ বড় দেরি করে এলো ।
মুখে কিছু লাল মাটি মেখে আকাশ
মৃদু হাওয়ায় স্বাধীনতা আনে,
আজ সেও ভয় পেয়েছে ।
সত্যি মিথ্যায় দিন ফুরালো,
তাই বাড়ি ফিরেছি সন্ধ্যায় ।
এবার তুমিও বিদায় নাও,
শিশুটিকে পাতা বিছানায় ঘুম পাড়াবো ।
চাঁদ ওঠে, মেঘের ছায়া সরে বারান্দায়,
দুটি চেয়ার – একটি ভাঙা একটি নরম
একে অপরের মুখ চায় ।।